সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১১

হে প্রাণের ই আক্বাজান,মোরে তব রঙে রাঙান



হে প্রাণের ই আক্বাজান! মোরে তব রঙে রাঙান
সুন্নতী সাজে সাজান, হে মালিকে দোজাহান ॥

গভীর স্তব্ধ রজনীতে, কাঁদি তব সাকিনা নিতে
আছি দু হাত পেতে, মোরে তব ফায়িজ পিলান। ঐ

সৃষ্টি জগতে মাখলুক যত, মামদূর ক্বদমে নত
রয় তাঁহার যিকিরে রত, তিনিই কাইয়্যুমুয্ যামান

দুঃখ বেদনা মনেভরা, রই তব দুয়ারে মোরা
দয়া দিন সুলতানুন্ নাসিরা, হে খাইরে কাছিরান! ঐ

ধরাতে কেউ নেই আপন, তব ক্বদমে রাখুন সারাক্ষন
তব ক্বদমে মোর জীবন, হে আউলিয়া সুলতান!

মালিক গো তব নূরে, সারা আলম উজ্বালা করে
রহম দিন হৃদয়ে ভরে, হে গাউসে দোজাহান! ঐ

কঠিন মীযান পুলসিরাতে, ওগো মামদূহ রাখবেন দয়াতে
সুপারিশ করবেন আখিরাতে, হে মুজাদ্দিদ যামান।

রইছি তব দরজায়, তব দয়া পাবারই আশায়
রাখুন তব করুনায় , হে দয়ালু আক্বাজান! ঐ

মামদূহ আহালের উসীলায়, আছি বেঁচে এ ধরায়
রইবো তাঁদেরই মায়ায়, হে মামদূহ আক্বা মহান! ঐ


রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১১

ইয়া মামদূহ ইয়া আক্বাজান




আমার এই ছোট জীবনে-পাইনি আপন মামদূহ বীনে
মামদূহ মালিক ও মাওলা-করুন মোরে ওলীআল্লাহ
ইয়া মামদূহ॥
ছেড়েছি সকল আপনজন- মামদুহর গোলামীতে কাটাব জীবন
গোলামীতে হোক মরণ- করছি যে মরণপন
ইয়া মামদূহ॥

আরজি করি অধম কাঙ্গাল- গোলাম হয়ে থাকবো চিরকাল 
গোলামে মামদূহ আহাল- হয়ে হব উজ্বাল
ইয়া মামদূহ॥

হামেশা ভয় আসে অন্তরে-রাখুন মামদূহ মোরে নজরে
অধম এই গুনাহগারে- ডাকি মামদূহ বারেবারে
ইয়া মামদূহ॥

দুনিয়ায় থাকি যখন পেরেশান- মামদূহ কাছীদাতে পাই পরিত্রান
হে আমার প্রাণের প্রাণ- করুন মোরে ইহসান
ইয়া মামদূহ॥


বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১১

মারহাবা মারহাবা শাহী শাহদামাদ ক্বিবলা!



হায়দারী নাজ নিয়ে বাংলায়
আসিলেন নূরী শাহদামাদ,
আসাসালাতু আস সালাম
পড়ি গোলাম নিরালা॥

নক্বশায়ে আলী হায়দার
করিলেন বাতিল চুরমার,
দিয়ে অসীম প্রেরণা
করেন মোদের উজালা॥

মুবারক মাহে যিলক্বদে
রহি মোরা আহলাদে,
ঈদের খুশি দেখ হৃদে
আনন্দে সবে উতালা ॥

শাহদামাদজী শাফিউল উমাম
শুনো হে তামাম আওয়াম,
নিয়ে মাদানী পয়গাম
আসেন হাবীবুল্লাহ্॥

ধরাতে বিরল নিয়ামত
শাহদামাদজীর বিলাদত,
চাহি মোরা সদাই নিছবত
নজর দিন মোদের ক্বিবলা ॥

আহলে বাইতের হৃদয়মণি
সাইয়্যিদী শাহী খান্দানি,
বাবুল ইলম তিনি জানি
দোজাহানের খইরুল্লাহ॥

পারি না পঠিতে ছানা
করুন মোদের মার্জনা,
চাহি সদাই নজরানা
হে আক্বা নায়িবুল্লাহ॥

সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১১

দিন রজনী কাটে আমার যেন মামদূহজীর গোলামীতে



দিন রজনী কাটে আমার 
যেন মামদূহজীর গোলামীতে
গোলামে আহালে বাইত
লিখে দিন বরাতে॥

হবোই আমি সফলকাম
হয়ে আহাল পাকের গোলাম
আমার নসীব উজ্বালা
যদি রাখেন নিসবতে॥

বিরহ বেদনা বাড়ে
যদি না দেখি আপনারে
রইছি অধম বহুদুরে
নজরের চাহনি দিন সিনাতে॥

হাদীয়া দিয়েছি এ জীবন 
গোলামীতেই হোক মরণ
কহি দিলের ই কথা 
রাখুন খানকার সোহবতে॥

কত কথা কত সূরে
হৃদে গুন গুন করে
জানেন কি চাহে অন্তরে
কি লিখবো আর বর্নণাতে॥

নেইতো আপনার অজানা
এই সালিক আপনাতে দিওয়ানা
শুধুই গোলামীর প্রার্থনা
আরজু এই ক্বাছীদাতে॥ 
০৪-১০-১৪৩২ হিজরী 

যেতে পারলাম না দাদির রওয়াজায় আখিতে অশ্রুপাত দাদির ইশকি যাতনায়॥



দিন গো দীদার ডাকছি 
অভাগা নাতি আপনার 
জুদায়ি সইতে পারছিনা
চাইছি গো দাদি দীদার॥

ইয়া দাদি শুনুন 
অভাগা এই নাতির প্রার্থনা
অস্থির এ মন ও প্রাণ
বাড়ে বিরহ বেদনা॥

আজ হয়ে গেলো দাদির
ঈসালে সাওয়াবের মাহফিল
না যেতে পেরে
পাগল হয়েছে মোর দিল॥

ছুটি যতি পাইতাম 
ছুটে যাইতাম  দাদির রওয়াজায়
পূরণ হতো মনের আশা
রহি এই তামান্নায়॥

কিছুতেই পারতেছিনা 
মনটা করতে ভালো
না যেতে পেরে দাদির কাছে
দিল টা হয়েছে যেন কালো॥

বারবার মনে পরতেছে 
শাহী দাদিজানের কথা
কবে চলে যাবে  আমার 
হৃদয়ের সব ব্যথা॥

ইয়া দাদি ক্বিবলাহ!
আমি আপনার পাগল নাতি
নেক দৃষ্টিতে রাখুন
সব বেয়াদবি ক্ষমা করে
আপনার ইশকে বাধুন॥