বেদনাদায়ক কারবালা
-মাওলানা মুহম্মদ নাজমুল হুদা ফরাজী
কি যে বেদনাদায়ক, কারবালা
কারবালা, কারবালা, কারবালা
ফোরাতের তীর করে অসি'র
অশ্রু ঝড়ায় বিয়োগ ব্যথার
প্রাণ সবার করে জ্বালা। -ঐ
শয়তানী মাক্বামে হয়ে আসীন
ইয়াযীদ- আ’লে রসূলদের করতে চায় বিলীন
হইবে বায়াত হুসাইনী হাতে
মিথ্যা খবরে আনে কূলে ফোরাতের।
আ’লে রসূল ঘিরে থাকে, ইয়াযীদী ডালাপালা।
তিনটি প্রস্তাব দেন হযরত হুসাইন ইমাম
ইবনে যিয়াদ উহা করে প্রত্যাখ্যান
হয় জিহাদ নয় মুবারক শির
চায় মালউন যিয়াদ কাফির
হয় না দয়া কারো ঐ নিদান বেলা।
ছবরে জামিলে হয়ে আসীন
ইমাম করেন দোয়া সবে বলে আমীন! আমীন!
বীর বিক্রমে জিহাদ করে সব সঙ্গীগণ
একে একে সবাই করে শাহাদাতবরণ
হুর মালায়িক সবারে পড়ায় জান্নাতী মালা।
ফোরাতের তীর ঘিরে রাখে, ইয়াযীদ নির্দয়
আ’লে রসূল পাবেন না পানি, আর পাবে সবায়
পিপাসায় শিশু আছগরের প্রাণ যায় যায়
মিলে না নীর মিলে তীর ঐ শিশুর হৃদয়
ওরা এমনই পাষাণ, দেয় না হৃদয়ে স্নেহের দোলা।
শহীদী অমীয় সুধা
পান করিলেন নবী পরিবার
জান্নাতেরই মেহমান
হলেন শিশু আছগর
যে ইতিহাস কাঁদায় সবারে
যায় না কভু কখনো ভোলা।
সবশেষে হযরত ইমাম সামনে হন অগ্রসর
শত্রুকে কতল করে, করে লাশের স্তর
বৃষ্টির মত তীর মারে আমরের ইশারায়
রক্ত ক্ষরণে ইমাম মাটিতে পড়ে যায়
করে না দয়া মায়া ঐ ইবলিস চেলা।
হিংস্র কুকুর, বদ বখত জালিম সীমার
ইমামের বুকের উপর হয় সাওয়ার
মস্তক মুবারক বিচ্ছিন্ন করে নাদান
শহীদের অমীয় সুধা ইমাম করেন পান
ঐ ইতিহাস যায় না ভাবা, যায় না বলা।
মুবারক শির, নিয়ে সীমার
চলে যায় ইবনে যিয়াদের আসর
বিঁধে উহা বর্শার মাথাতে
যিয়াদ ঘুরায় কুফার পথে পথে
ঐ নির্মম কাহিনী শুনে, বাড়ে হৃদয় জ্বালা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন